ই আই টির টপার ছিল হরি চরণ মিশ্র কি সব ভালো রিসার্চ করায় চাকরি দিল ISRO. সেখান থেকে NASA, হরি চাকরি পেলো খাসা– আমেরিকায় বসত হলো, কিনলো গাড়ী, বাসা। কয়েক বছর খোঁজ রাখিনি, হঠাৎ টি ভি খুলে খবর দেখে গর্বে আমার উঠলো ছাতি ফুলে। হরি এবং আরেকটা কে, নাম মনে হয় গ্যারি, NASA’ র হয়ে দিচ্ছে দু’জন মহাকাশে পারি! গ্যারি গবেট আমেরিকান, কিন্তু মোদের হরি বাঙ্গালীদের নাম রেখে আজ হচ্ছে গগনচারি! মাস দু’ত্তিন কেটে গেছে এই খবরের পরে, রাজা গজা উজির মেরে, মাতব্বরি ক’রে। এক রবিবার সকাল বেলায় কাগজ খুলে দেখি “মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আই আই টির techie”! আকাশ যানের বাহির পিঠে মেরামতির কাজে কর্মরত ছিল হরি পা রেখে এক খাঁজে। হঠাৎ ক’রে NASA’র স্ক্রিনে উঠলো হরি ভেসে পা হড়কিয়ে লাট খাচ্ছে অসীম মহাকাশে। NASA এখন বলছে হরির আবর্তনের তালে হিসেব ক’রে ধরবে ওকে চৌম্বকীয় জালে। কিন্তু ওসব ফালতু কথা, কোন্ বাঙালির তরে কে কবে ঘাম ঝরিয়েছে, কেউ বসেছে নড়ে? নেতাজীরই খোঁজ নিলো না, আবার গায়ের জোরে গাঙ্গুলিকে হড়কে দিলো দল বেঁধে ক্লিক ক’রে! আর যদি বা মেনেই নিলাম জাল পাতবে NASA, তত দিনে রইবে কি আর হরির প্রাণের আশা? হরির কথা মনে এলেই বুক উঠছে কেঁপে, ‘বলো হরি’ শুনলে নিজের কান ধরছি চেপে। এদিক ওদিক গোঁত্তা খেয়ে ঘুরছে ধুঁকে ধুঁকে, গ্রহ তারা ধূমকেতুতে যাচ্ছে মাথা ঠুকে। হয়তো শীতে হিম হচ্ছে কিম্বা ঘেমে ঝোল, NASA’র পোশাক, তার ভেতরেই হাত পা ফুলে ঢোল। এলিয়েন্-দের ছেলে পুলে করবে অপমান, বক দেখাবে, জিব ভ্যাঙ্গাবে, গাইবে খারাপ গান। বদের ধাড়ি গ্রহান্তরের ঐগুলোকে পেলে NASA’র উচিত ফাঁসি দেওয়া নয়তো ভরা জেলে। মনে মনে অষ্ট প্রহর এই ভয়েতেই মরি হঠাৎ কোনো ব্ল্যাক হোলেতেই সেঁধিয়ে না যায় হরি। ওখান থেকে NASA’র বাবাও পারবে নাকো ধরতে, দিব্যি ছিলি খামকা গেলি নায়কবাজি করতে। – by Dr Amol Sanyal |